🧾 জন্ম সার্টিফিকেট (Birth Certificate) নতুন আবেদন প্রক্রিয়া – ২০২৫

 

🧾 জন্ম সার্টিফিকেট  (Birth Certificate) নতুন আবেদন প্রক্রিয়া – ২০২৫ 







🎯 কেন প্রয়োজন?

জন্ম সার্টিফিকেট হলো ব্যক্তির জন্ম তারিখ, স্থান ও পিতা–মাতার পরিচয়াদি নিশ্চিত করে। এটি স্কুলে ভর্তি, আধার-পাসপোর্ট, চাকরি, বিবাহ, উত্তরাধিকার, ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।


📋 আবেদনের ধরন

  • নতুন আবেদন — ২১ দিনের মধ্যে: কোনও ফি লাগে না।

  • বিলম্বে আবেদন — জন্মের ২১–৩০ দিনের মধ্যে ₹১, ৩০ দিন–১ বছরের মধ্যে ₹২, এক বছরের বেশি হলে ₹১০ + ম্যাজিস্ট্রেট নথি 


🛠 প্রয়োজনীয় নথি

  1. **জন্ম প্রমাণপত্র**
    – হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের জন্ম/ডিসচার্জ সার্টিফিকেট।
    – বা বাড়িতে জন্ম হলে এলাকা প্রাধিকারিক/ডাক্তার স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট 

    1. পিতামাতার পরিচয়–ঠিকানার প্রমাণ

    – আধার, ভোটার কার্ড, রেশন–বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি 
    1. জন্মের তারিখ ও সময় হাসপাতাল/ডাক্তারের রিপোর্ট থেকে পাওয়া।

    1. বিলম্ব হলে সাধারণত স্বপথনামা, ৫ জন স্থানীয় সাক্ষীর সই/ঘোষণা লাগতে পারে


📱 অনলাইনে আবেদন- Video Link

১. ওয়েবসাইটে যান 👉 janma-mrityutathya.wb.gov.in (এডিস্ট্রিক্ট WB ↔ CRS)
২. নির্বাচন করুন Citizen Services → Birth → Apply For New Registration 
৩. মোবাইলে OTP নিন → জমা দিন → ফর্মে শিশু ও পিতামাতার তথ্য, সময়, জন্মস্থান পূরণ করুন এবং নথি আপলোড করুন
৪. সফলতা পেইনের পর পাবেন একটি আবেদন বা Acknowledgement নম্বর।
৫. সাধারণ প্রসেসিং সময়: ৭–১৫ কর্মদিবস; বিলম্বে হলে পেনাল্টি ও কিছু বিলম্ব হতে পারে 


👉স্টেপ ১: প্রথমেই চলে যান অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। 👇




👉স্টেপ ২: নতুন করে বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর জন্য Citizen Services এর উপর ক্লিক করে Birth অপশনটিকে সিলেক্ট করুন, এরপর বাম দিক থেকে Apply For New Registration অপশনে ক্লিক করুন 👇




👉স্টেপ ৩: এই বক্সে মোবাইল নাম্বার লিখে Get Otp-তে ক্লিক করুন। 👇




👉স্টেপ ৪: Enter Otp-এর ঘরে ওটিপি লিখে Submit Otp-তে ক্লিক করুন । 👇





👉স্টেপ ৫: সফলভাবে ওটিপি জমা দেওয়ার পর বার্থ সার্টিফিকেটের ফর্মটি এইভাবে ওপেন হবে।👇

     


👉স্টেপ ৬: প্রথমেই শিশুর জন্মস্থান নিশ্চিত করুন। যেখানে জন্মের স্থান, রাজ্য ,জেলা, ব্লক/ পৌরসভা, গ্রামের নাম এবং পিন নং এন্টার করুন। । 👇





👉স্টেপ ৭: তারপরে শিশুর তথ্য প্রদান করুন। যেখানে জন্মের তারিখ, লিঙ্গ ,শিশুর নাম লিখুন।👇




👉স্টেপ ৮:  Multiple Pregnancy অপশন থেকে প্রেগনেন্সির টাইপ টা সিঙ্গেল না টুইন্স সিলেক্ট করে নিন।👇




👉স্টেপ ৯: পিতা ও মাতার তথ্য পূরণ করুন, যেখানে প্রথম নাম, নামের মধ্যাংশ, নামের শেষাংশ, ইমেল আইডি ও মোবাইল নাম্বার লিখুন ।👇





👉স্টেপ ১০: টাইপ অফ আইডি প্রুফ থেকে যেকোনো একটি আইডি সিলেক্ট করে তার আইডি নাম্বার লিখুন ।👇





👉স্টেপ ১১: এবং সেই আইডি কার্ড টি ২৫০ কেবিএর মধ্যে আপলোড করুন । (Pdf,jpg,jpeg ফরমেটে) 👇




👉স্টেপ ১২: শিশুর জন্মের সময় মাতার ঠিকানা পূরণ করুন।👇





👉স্টেপ ১৩: মাতার স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন।👇






👉স্টেপ ১৪: সংবাদদাতার তথ্য পূরণ করুন, যেখানে সংবাদদাতার নাম, ডেজিগনেশন , এমপ্লয়ী আইডি, এবং সম্পূর্ণ ঠিকানা পূরণ করুন।👇






👉স্টেপ ১৫: এরপর পরিসংখ্যানগত তথ্যের মধ্যে পিতা ও মাতার ধর্ম পিতার শিক্ষাগত মান পিতার পেশা মাথার শিক্ষাগতমান এবং মাতার পেশা নির্বাচন করুন।👇



👉স্টেপ ১৬: সবশেষে অন্যান্য তথ্য পূরণ করুন, যেখানে প্রথম বিবাহের সময় মাতার বয়স, বাচ্চার জন্মের সময় মাতার বয়স, এই সন্তানসহ মাতার প্রসৃত জীবিত সন্তান সংখ্যা ,গর্ভের সময়কাল পূরণ করুন এবং ডানদিকে প্রসবকালীন পরিচর্যা কোথায় হয়েছে ও প্রসবের পদ্ধতি নির্বাচন করুন। তারপরে জন্মের সময় শিশুর ওজনটি লিখুন। 👇




👉স্টেপ ১৭: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি আপলোড করুন। এবং সাবমিট করুন । 👇






👉স্টেপ ১৮: সাব্বির বাটনে ক্লিক করলে এই ধরনের একটা পপ-আপ মেসেজ শো করবে এটাকে ওকে করুন  । 👇



ওকে করলেই শিশুর জন্মের সমস্ত তথ্য সফলভাবে সাবমিট হয়ে যাবে। এবং এর জন্য একটা রেফারেন্স নাম্বার তৈরি করা হবে যেটা রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারে এসএমএস এ পাঠানো হবে।



🔍 স্ট্যাটাস চেকিং

– পোর্টালে Track Application → Acknowledgement নম্বর ও জন্মতারিখ দিন → দেখুন আবেদন পেন্ডিং/এপ্রুভ হয়ে গেছে কি না


📥 সার্টিফিকেট ডাউনলোড

– Download Certificate অপশনে যান → Acknowledgement/Certificate নম্বর লিখে খুঁজুন → OTP দিন → PDF ফাইল ডাউনলোড করুন


✍️ তথ্য সংশোধন

– পোর্টালে প্রবেশ করে Citizen Services → Birth → Birth Certificate Correction নির্বাচন করুন → সার্টিফিকেট নম্বর দিয়ে OTP নিশ্চিতকরণ → সংশোধন ফর্মে ভুল তথ্য সংশোধন করে জমা দিন 
– আরও দরকার হলে সংশোধনের মেবিলি ফি বা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগতে পারে, বিলম্বের সমান ফি বিনিময়েও


💡 ডিজিটাল রূপান্তর (পুরোনো সার্টিফিকেটের জন্য)

  • হাতে লেখা বা ম্যানুয়াল জন্ম সনদ (১৯৯৯-এর পর ইস্যুকৃত)‑এর ডিজিটাল সংস্করণ পেতে
    পিতামাতার ID ও মূল সার্টিফিকেট/পোলিও কার্ড নম্বর নিয়ে উপজেলা/পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে “Form A” পূরণ ও ডিজিটাল রূপান্তর সংক্রান্ত আবেদন করতে হবে 

  • একবার ডিজিটাল হলে অ্যাকাউন্ট সেট আপ করে যেকোনো সময় PDF ডাউনলোড করতে পারবেন।


✅ সার্বিক পর্যালোচনা

ধাপকী করতে হবেসময়/ফি
অনলাইনে Apply৭–১৫ দিন; ₹0 (২১ দিনের মধ্যে) বা বিলম্বিত ফি
Track Applicationপ্রগতি দেখা যায় পোর্টালে
Download CertificatePDF পাওয়া যাবে OTP-সাপেক্ষে
Correctionঅনলাইনেই সংশোধন করা যায়
Old to Digitalস্থানীয় অফিসে আবেদন করে QR‑যুক্ত ডিজিটাল বানানো যায়

🔚 

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের janma-mrityutathya.wb.gov.in পোর্টালের মাধ্যমে জন্ম সার্টিফিকেট আবেদন, স্ট্যাটাস চেক, ডাউনলোড এবং সংশোধন—যে কোনও পদক্ষেপ অনলাইনে করা চলে।
নিজে বা নবজাতকের জন্য জন্ম সনদ দরকার হলে, উপরের নির্দেশনার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত পেতে পারবেন, ঘরে বসেই। প্রয়োজনে স্থানীয় অফিসে গিয়ে ডিজিটাল রূপান্তর বা অফলাইন আবেদনও করা যায়।

🎯 কোনো ধাপ নিয়ে জটিলতা হলে কমেন্ট বা স্থানীয় স্বাস্থ্য/রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করুন । 



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.